রাম যদি সীতাকে অগ্নিপরীক্ষা না দিতে বলতেন তবে কী হতো? যদি সীতার চাওয়া সোনালি হরিণ ধরে আনতে না ছুটতেন রাম, তাহলে? লংকাকাণ্ড না বাঁধিয়ে তখন কেমন রামায়ণ পেতাম আমরা? এরকম কতো কথাই তো ভাবা যায়। রামের কথা বাদই দিলাম, সীতার কেমন অনুভব হচ্ছিলো যখন তাকে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হলো? তার দিনগুলো কেমন যেত লংকাপুরীর অশোক বনে বন্দী থেকে? লোকে কী বলবে- সেই চিন্তায় স্বামী তাকে ত্যাগ করার পর স্ত্রী হিসেবে সীতাকে কীসের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল? “সাত খণ্ড রামায়ণ পড়ে, সীতা কার বাপ?” এমন একটি কথা পাঠক শুনেছেন নিশ্চয়ই! কিংবা, “সাত খণ্ড রামায়ণ পড়ে, সীতা কার মাসী।” বাল্মীকির মহাকাব্য রামায়ণের সাথে সবাই কমবেশি পরিচিত হলেও সীতার গল্পটি কেউ ভেবে দেখেছেন কখনও? পুরো ঘটনাটি যদি আপনি সীতার চোখে দেখেন তাহলেই কিন্তু রামায়ণের গল্পটি হয়ে যায় ‘সীতায়ণ’! বিশ্ববিখ্যাত উপন্যাস ‘দ্য ফরেস্ট অফ এনচান্টমেন্টস’-এর বাংলা রূপান্তর ‘সীতায়ণ’ বইটি হাতে নিয়ে হারিয়ে যান বহুকাল আগের এক পৌরাণিক পৃথিবীতে!
“আমার নিজ মাতৃভাষা বাংলায় আমারই উপন্যাস ‘দ্য ফরেস্ট অফ এনচান্টমেন্টস’-এর এত সুন্দর অনুবাদ হওয়ায় আমি ভীষণ আনন্দিত। সীতার আত্মকথন এখন পাওয়া যাচ্ছে বাংলাভাষীদের জন্যও।” -চিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় দিবাকরুণী লেখিকা, ‘দ্য ফরেস্ট অফ এনচান্টমেন্টস’