মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আপনি পছন্দ করতে পারেন, অপছন্দও করতে পারেন- যেটিই করুন না কেন, তার প্রেসিডেন্ট হয়ে ওঠার গল্পটা কিন্তু বেশ অবাক করা! মাত্র ত্রিশ বছর বয়সে তিনি তরুণতম সিনেটরদের একজন হিসেবে সিনেটে তার যাত্রা শুরু করেন, কিন্তু ঠিক তখনই তার জীবন ওলটপালট হয়ে যায়- গাড়ি দুর্ঘটনায় তার জীবন থেকে বিদায় নেন তার স্ত্রী, এবং তার শিশু কন্যা- যাদের সাথে তিনি বাকি জীবনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন তখন ধূলিসাৎ। চরম হতাশায় ডুবে যান বাইডেন। সেখান থেকে কীভাবে ফিরে এলেন তিনি? মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির জন্য কী কী করেছেন তিনি? মস্তিষ্কের ভয়াবহ রোগের শিকার হয়েও বেঁচে ফিরলেন কীভাবে? তার জীবনে নতুন মানুষ এলো কী করে? রাজনীতি অপছন্দ করা তার নতুন জীবনসঙ্গিনী কীভাবে নিজেকে জড়িয়ে নিলেন বাইডেনের জীবনে? আর সবচেয়ে বড় কথা, জনগণকে বাইডেন কীভাবে মুগ্ধ করেছেন তাকে ভোট দেয়ার জন্য? জো বাইডেনের কঠিন জীবনের গল্পটা আপনাকে হতাশ করবে না, এই আশা করাই যায়।জো বাইডেন (জোসেফ রবিনেট বাইডেন জুনিয়র) জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪২ সালের ২০ নভেম্বর। তিনি একজন মার্কিন রাজনীতিবিদ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম রাষ্ট্রপতি। ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য জো বাইডেন এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৪৭তম ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ১৯৭৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ডেলাওয়্যারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭২ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে আমেরিকার ইতিহাসে ষষ্ঠ সর্বকনিষ্ঠ সিনেটর হিসেবে ডেলাওয়্যার থেকে মার্কিন সিনেটে নির্বাচিত হন, এবং ৩০ বছর বয়সে সিনেটে যোগ দেন। তিনি সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির দীর্ঘদিনের সদস্য ছিলেন এবং সর্বশেষ এর চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার প্রথম স্ত্রী নেইলিয়া (নিলিয়া) হান্টার ১৯৭২ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হন। ১৯৭৭ সালে তিনি জিল জ্যাকবসকে বিয়ে করেন, যিনি বর্তমানে এ বই প্রকাশের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি।